• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

  ভৈরব প্রতিনিধি

২৩ জুলাই ২০১৯, ১২:৩৪
খামার
গরুর খামার (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা। বুক ভরা আশা নিয়ে তারা দিন গুণছে কখন জমে উঠবে পশুর হাট। গত বছর শেষের দিকে দাম পড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি লোকসানের মুখে পড়েন। এ বছর যদি বাজারে ভারতীয় পশুর আমদানি না হয় তাহলে গতবারের লোকসান পুষিয়ে অনেক লাভবান হবেন তারা।

জানা গেছে, পৌর শহরের চন্ডিবের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা বিলকিছ বেগম। আজ থেকে ৬ বছর আগে মাত্র একটি গাভী দিয়ে শুরু করে গবাদি পশু লালন-পালন। বর্তমানে বিলকিছ বেগমের গোয়ালে ১২টির বেশি পশু রয়েছে। ৪টি ষাঁড় এবং ৮টি গাভী লালন-পালন করছেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি এখন প্রান্তিক পর্যায়ে একজন সফল খামারি। ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদী পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিলকিছ। সবুজ ঘাস, খড়, কুড়া, খৈল ও ভূষির মাধ্যমে পশু মোটাতাজা করছেন তিনি।

তার মতো কমলপুর এলাকার শাহাদাত, আরিফুল ইসলাম ও জুয়েল মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট-বড় খামারে চলছে দেশীয় এবং সংকর জাতের পশু লালন-পালন। শুধু প্রান্তিক পর্যায়ে নয়, শহরের নিউ টাউনে বৃহৎ আকারে রুজেন ডেইরি ফার্মেও চলছে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ। ফলে আগের তুলনায় যেকোনো ধরনের রোগ বালাইয়ের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে এসেছে।

খামারিরা জানান, বাজারে গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের পশু মোটাতাজাকরণের অনেকাংশে ব্যয় বেড়েছে। যদি দেশে ভারতীয় পশু আমদানি না হয় তাহলে অনেকেই গেল বছরের লোকসান পুষিয়ে অধিক লাভবান হবেন।

চন্ডিবের গ্রামের মাসুম নামে এক খামারির দাবি, হঠাৎ করে পশু অসুখ-বিসুখে পড়লে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসের নিয়োজিত চিকিৎসকদের সহযোগিতা পেতে বিলম্ব হয় বলে অভিযোগ করেন। আবার সহযোগিতা পেলেও অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়।

এছাড়াও খামারিদের দাবি, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ এবং সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলে ব্যাপক হারে পশু লালন-পালনে আগ্রহী হয়ে উঠতেন। এতে অধিক লাভবান হতেন তারা। এমনটাই প্রত্যশা এই অঞ্চলের খামারিদের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসের হিসাব অনুযায়ী, উপজেলার চাহিদা মেটাতে এ বছর প্রায় ৩ হাজার খামারি দশ হাজারের অধিক গবাদি পশু লালন-পালন করছেন। এছাড়াও কোনো খামারি যেন স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য নজরদারি করা হচ্ছে। তাছাড়া যদি কোনো খামারির অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্য দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড