পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে ছেলেধরা সন্দেহে এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় প্রায় ৪০ বছর বয়সী এক নারী এলোমেলো অবস্থায় পূর্বপাড়া গ্রামের আক্কেল প্রামাণিকের বাড়িতে ঢুকে অসংলগ্ন আচরণ করে। ওই নারী গৃহকর্ত্রীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে গলা কেটে নেবে বলে হুমকি দেয়। এতে আক্কেল প্রামাণিকের স্ত্রী ভীত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এসে সমবেত হয়ে ধরে ফেলে।
এ সময় ওই নারীর একটি ছিন্নভিন্ন ব্যাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের কিছু শুকনো খাবার, একটি চাকু ও টেপ পাওয়া যায়। চাকু ও টেপ দেখে লোকজন তাকে ছেলেধরা বলে ধারণা করে। এই খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ সমাবেত হয় এবং ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হতে থাকে। এলাকাবাসী ঈশ্বরদী থানায় খবর দিলে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এসআই শাহীন জানান, আটক ওই নারী আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী। পানি খাওয়ার জন্য ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। সে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরভাঙ্গাবাড়িয়া ঘোষপুর গ্রামের মৃত রওশন শেখের মেয়ে মিনারা খাতুন। তার পলিথিনের ব্যাগে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনও রয়েছে। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী মিনারার ব্যাগে মানসিক রোগের চিকিৎসার ওষুধও পাওয়া গেছে। তার আচরণ অসংলগ্ন হলেও নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য ঠিকঠাক মতো বলতে পারছে বলে এসআই শাহীন জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, তারা গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি জনগণকে অহেতুক আতঙ্কিত ও বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড