বগুড়ায় ছেলেধরা সন্দেহে ৪ যুবককে গণপিটুনি

বগুড়ার গাবতলীতে ছেলেধরা সন্দেহে চার যুবককে গণপিটুনি দিয়ে তাদের ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

সোমবার (২২ জুলাই) উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপাশে স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে গাবতলীর ইউএনও আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন ও থানার ওসি সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই চারজন যুবককে উদ্ধার করে। এ সময় জনতার ইট পাটকেলে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতার ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ১৫ জনকে আটক করে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ওই চারজন যুবক সোমবার বিকাল ৩টায় দুর্গাহাটা মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপাশে একটি কেজি স্কুলের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। স্থানীয় লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এলোমেলো কথা বলে। তখন লোকজন ওই চারজন যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে মারপিট শুরু করে। মুহূর্তে উৎসুক জনতার সমাগম ঘটে।

এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা তাদের ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু ওই চারজন যুবককে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটক করে রাখে।

আটককৃতরা হলেন- গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ফাহিম (২৪), পারধুনট মধ্যপাড়া গ্রামের আ. রশিদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫), ধুনট জোড়শিমুল গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (২২) ও তার ভাই নিয়ামুল হোসেন (৩৬)।

তবে আটককৃত চারজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সারিয়াকান্দীতে বেড়াতে গিয়েছিল। ঘুড়ে বেড়ানো শেষে তারা গাবতলীর দূর্গাহাটা মাঝিপাড়া গ্রামে তাদের বন্ধু বোরহানের ছেলে জাকিরুলের গ্রামে যায়।

এ সময় জাকিরুল তার ওই চারজন বন্ধুকে দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অপেক্ষায় থাকতে বলে। ওই চারজন যুবক জাকিরুলের কথা মতো পরিষদের সামনে অপেক্ষা করছিল। তখন জনগণ তাদেরকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে তাদের ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে।

সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমীন জানান, বিক্ষুব্ধ জনতার ইট পাটকেল নিক্ষেপ করায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

ওডি/এএসএল