মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদীর ভাঙনে শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি পদ্মাগর্ভে ক্রমাগত বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিনের ব্যবধানে জেলার লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রাম ও লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের প্রায় শতাধিক পরিবার এখন নিঃস্ব। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার ও খড়িয়া জামে মসজিদ। ক্রমশ ভাঙন তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
সরজমিনে ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রবল স্রোতের গতি বেগ প্রখর আকার ধারণ করেছে। ভাঙন থেকে বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য দ্রুত সরিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অসহায় এ মানুষগুলোকে। এদিকে খড়িয়া গ্রামের পাশাপাশি লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা পদ্মার ভাঙনে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে চরের ঝাউটিয়া, তেউটিয়া, ব্রাহ্মণগাঁও, কোরহাটি, ভোজগাঁও, সংগ্রামবীর, গাওপাড়া, দিঘলী, দুয়ালী, পাইকারা গ্রামের প্রায় হাজার পরিবারের বাসাবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চরবাসী। ফলে জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ।
রবিবার (২১ জুলাই) রাত ১১টায় জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রবল স্রোতে ভাঙনের মুখে গ্রামটি। রাতের মধ্যেই আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প খুলে দিয়েছি। আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রাতে ১০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। একটি মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে এ বিষয়ে আবারও কথা হলে তিনি জানান, আমরা ১০ লাখ টাকার বাজেটে জিও ব্যাগে বালু ভড়ে ভাঙন রোধের জন্য ফেলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে সঙ্গে চারটি ড্রেজার লাগানো হয়েছে যাতে খড়িয়ার দিকে থাকা প্রবল বেগের মোড় ঘুরানো যায়। এতে খড়িয়া গ্রামটি ভাঙন মুক্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে সার্বক্ষণিক আমরা এখানে সকল বিষয় নিয়ে তৎপর আছি এবং থাকবো।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড