প্রেমে টানছে মেয়েরাও, বাংলাদেশে মার্কিন তরুণ

বাংলাদেশের ছেলেদের প্রেমের টানে বিদেশিনীদের এ দেশে আগমনের খবর প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এ ক্ষেত্রে মেয়েরা একেবারেই পিছিয়ে। তবে আজকাল মেয়েরাও প্রেমে টানছেন বিদেশি তরুণদের।

বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার প্রসার হওয়ার পর থেকে বিদেশি তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের ভার্চুয়াল পরিচয় ও যোগাযোগ সহজ হয়েছে। প্রথমে পরিচয়, পরে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব গড়াচ্ছে প্রেম ও বিয়ে পর্যন্ত।

সব বাধা বিপত্তি পেছনে ফেলে প্রেমের টানে গাজীপুরে ছুটে এসেছেন মার্কিন তরুণ ডেন হোয়াইট। গাজীপুরে এসেই সোজা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা হোয়াইট। তার প্রেমিকার নাম মাসুমা সুলতানা শান্তা। সে গাজীপুরের মির্জাপুরের নয়াপাড়া গ্রামের সোলাইমানের মেয়ে।

বিয়ের আগেই হোয়াইট মুসলমান হয়েছেন। নাম পাল্টিয়ে রেখেছেন মোহাম্মদ আলী। এরপর বাঙালি রীতি অনুযায়ী শান্তাকে বিয়ে করেন তিনি।

বর্তমানে গাজীপুরের মির্জাপুরের নয়াপাড়া গ্রামের মাসুমা সুলতানা শান্তার বাড়িতে অবস্থান করছেন মোহাম্মদ আলী।

এ ব্যাপারে মাসুমা সুলতানা শান্তা বলেন, আমাদের মাত্র দুই মাসের পরিচয়। এরই মধ্যে ঘটে যায় অনেক কিছু। মূলত ফেসবুকে একটি বিতর্ক গ্রুপের মাধ্যমে ডেন হোয়াইটের সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। কথা হতো ভিডিও কলে। এভাবে কথা বলতে বলতে মনের অজান্তে দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ায় পারিবারিক সম্পর্কে।

শান্তা বলেন, ভিডিও কলে আমাদের উভয় পরিবারের সদস্যরাও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। বিয়ে করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছি আমি। এক মাস ধরে ভিসা প্রসেসিং করেও কাজ হয়নি। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ডেন হোয়াইট।

শান্তা বলেন, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারিতে ডেন হোয়াইট বাংলাদেশে আসে। ওই দিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। এটিই আমাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। ওই দিনই তাকে নিয়ে গাজীপুরে আমাদের বাড়ি আসি। এরপর চলে বিয়ের আয়োজন।

শান্তা আরও বলেন, ডেন হোয়াইট খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। পরে মুসলমান হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী মুসলমান হয়েছে। তার বর্তমান নাম মোহাম্মদ আলী। বাঙালি রীতি মেনে ৩ ফেব্রুয়ারি আমাদের গায়ে হলুদ ও আংটি বদলসহ বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। মোহাম্মদ আলী বর্তমানে আমাদের বাড়িতে। আমরা ভালো আছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

ওডি/এমআর