পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা জেলাব্যাপী ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার (২১ জুলাই) দুপুরে এক নারীসহ তিন জনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে উদ্ধার করা জহুরুল (৩০) এবং জিয়া উদ্দিন (৩৫) নামে দুই ব্যক্তি রোহিঙ্গাকে এবং ভাড়ারা ইউনিয়নের দড়িভাউডাঙ্গা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় সোনিয়া (২৩) নামে এক নারীকে। সোনিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মো. মঞ্জুরের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সোনিয়া ভিক্ষুক এবং দুই রোহিঙ্গা মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে। তারা নিজেদের নাম ছাড়া আর কিছু বলতে পারে না।
পাবনা থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, সোনিয়া স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় এবং ভিক্ষুক। সে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়াড়া ইউনিয়নের দড়িভাউডাঙ্গা গ্রামে ভিক্ষা করতে গেলে তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গ্রামবাসীরা আটক করে মারপিট করে। খবর পেয়ে পাবনা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ওসি আরও জানান, একইভাবে দুপুর ১টার দিকে জহুরুল ও জিয়াউদ্দিনকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রাজাপুরে ঘোরাফেরা করতে দেখলে গ্রামবাসীরা তাদের আটক করে মারপিট করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পাবনা থানার ওসি ওবাইদুল হক জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে উদ্ধারকৃতরা কোনো ছেলে ধরা নয়। জহুরুল ও জিয়াউদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে। তাদের ভাষা পরিষ্কার বোঝা যায় না। তবে তারা রোহিঙ্গা বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া সোনিয়াও ভিক্ষুক। তাদের বিষয়ে আরও তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে ছেলে ধরা সন্দেহে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি এও বলেছেন, অপরিচিত কাউকে দেখলে বা গতিবিধি সন্দেহজনক হলে পুলিশে খবর দিন। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড