কাজী আনোয়ারুল ইসলাম, রাজবাড়ী
প্রতিদিন বাড়ছে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর অংশের পানি। ফলে গত কয়েক দিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে জেলার সদর, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বন্যাকবলিত গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সেখানে পানি বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার এবং পাংশা সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, গত চার দিনের পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের নয়নসুখ ও গোয়ালন্দের ছোট ভাকলার অন্তার মোড়, দেবগ্রামের কাউয়াজানি ও দৌলতদিয়ার সাত্তার মেম্বর পাড়ায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে ওইসব এলাকার প্রায় দুই শতাধিক বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল ফসলি জমি। এছাড়া পানিবন্দি ওইসব পরিবারের অনেকে গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিলেও থাকা-খাওয়া এবং গবাদি পশুর খাবার নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী বা সহযোগিতা পাননি বন্যা কবলিতরা।
কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাচিনা পারভীন জানান, ইউনিয়নের মাহেন্দ্রপুর, লস্কারদিয়া নারায়নপুর, বিজয়নগর, মাধবপুর, চর রাজপুর, আলোকদিয়া, হরিনবাড়িয়া, বল্লবপুর, ভাগলপুর, গঙ্গানন্দপুরের প্রায় ২০ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দিদের এখনো কোনো সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, শনিবার বিকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের নয়নসুখ এলাকার ২০৫টি পানিবন্দি পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে গোয়ালন্দেও নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জেলার কালুখালীসহ অন্যান্য এলাকায় পানিবন্দিদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। তালিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড