নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ পর্যন্ত উপজেলার ৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০টি, মাদরাসা ৪টি, কলেজ ২টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৬টি। এতে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে ওই সব বিদ্যালয়ে। পাইকশা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতিমধ্যে পানির তোড়ে ভেঙে যমুনা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আরও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।
এদিকে সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কোনো নির্দেশনা না থাকায় অভিভাবকরা রয়েছেন উভয় সংকটে। তারা তাদের কোমলমতি সন্তানদের দুঃশ্চিন্তা নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। যে সকল বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেনি সেখানেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মিয়া জানান, উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের মধ্যে ১৬টিতে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাদ্রাসা ও ২টি কলেজের মাঠে ও শ্রেণি কক্ষে বন্যার পানি ঢুকে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
বন্যায় তলিয়ে যায় বিদ্যালয় ভবন ( ছবি : দৈনিক অধিকার )
এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিমা আক্তার জানান, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫৩টি। এর মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৭৬টি। আর নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১টি। এখনও ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে সকল বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বন্যার পানি ঢুকেছে সেখানে বিদ্যালয় সংলগ্ন উচুঁ বাড়িতে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানান সেলিমা আক্তার।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড