গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘটের পানি কিছুটা কমলেও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর ও সাঘাটা উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
রবিবার (২১ জুলাই) জেলা প্রশাসন দৈনিক অধিকারকে জানান, জেলার এ সব উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ২৫৩টি গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯৮ জন মানুষ। কাঁচা রাস্তার ৫১৭ কিলোমিটার ও বাঁধ পাঁচ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যার পানিতে কালভার্ট ধসে গেছে ১৭টি, ফসল নিমজ্জিত রয়েছে ৯ হাজার ৮শ ২১ হেক্টর ও ২৬ হাজার ৪০টি টিউবওয়েল এছাড়াও ২৯ হাজার ৪১ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ১৪২টি, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৬৬টি। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭১ হাজার ২৪ জন।
বন্যার পানিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ৯শ ৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জেলার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী দৈনিক অধিকারকে জানান, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ধর্মীয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৩শ ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ দিকে করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। তবে গাইবান্ধা শহরের আলাই নদীর পানি নেমে যাওয়ায় কুঠিপাড়া, বানিয়ানজান ও পূর্বপাড়া, মাস্টারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি কমেছে। তবে ডুবে আছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। ভেসে গেছে পুকুর ও মৎস্য প্রকল্পের মাছ। অতিরিক্ত পানির স্রোতে তলিয়ে রয়েছে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট, সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটার বেশ কয়েকটি সড়ক। জেলায় বন্যায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকায়। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সড়কে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বন্যাকবলিতরা। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক সঙ্কটে পড়েছে তারা। বিশেষ করে গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে।
রবিবার (২১ জুলাই) ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি ১০১ সেমি, ঘাঘট ৫৩ সেমি, করতোয়া ৩ সেমি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে তিস্তার পানি ৫৪ সেমি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড