সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বসতভিটা ও বাঁধ ভাঙনের আতঙ্ক আর বন্যাকবলিত হয়ে জেলার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে জীবনযাপন করছে। এ ছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিতদের অভিযোগ- এমন দুর্ভোগের দিনেও স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধিরাই তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না।
এ দিকে বন্যায় চরাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। বন্যা কবলিতদের হাত-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। ঘরে শুকনো খাবার-বিশুদ্ধ পানিসহ ওষুধ থাকায় ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে চরম কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা।
গৃহপালিত পশুদের সঙ্গে থাকার জায়গা ভাগ করে নিচ্ছেন পানিবন্দি মানুষ (ছবি- দৈনিক অধিকার)
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো কাঁথা-পলিথিন দিয়ে ঝুপড়ি ও খোলা আকাশে নিচে গরু-ছাগলসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব বন্যা কবলিত মানুষের অভিযোগ- ত্রাণ তো দূরের কথা এত কষ্টে থাকলেও জনপ্রতিনিধি কেউ খোঁজ নিতে আসছেন না।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবার প্রতি ১০ কেজি মোটা চাল দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অনেক স্থানে এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।
পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর (ছবি- দৈনিক অধিকার)
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জানান, বন্যা শুরুর পর থেকেই বন্যাকবলিত সব উপজেলার পানিবন্দি মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব বন্যা কবলিতরা ত্রাণ সামগ্রী পাবেন।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড