আব্দুস সালাম বাবু, বগুড়া
বন্যা ভাসিয়েছে সবকিছু এবার এবার চলছে পানিবন্দি জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই। বগুড়ার গত এক সপ্তাহে বন্যায় জেলার তিনটি উপজেলায় ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সপ্তাহধরে যমুনার তাণ্ডব চলেছে। বিপদ সীমার সর্বোচ্চ ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পানি। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বাঙ্গালী নদীর পানি।
এদিকে বন্যায় জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটে ৯ হাজার ৬৫৯ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫শ ১২ হেক্টর জমির পাট, ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমির আউস ধান, ৬১ হেক্টর জমির সবজি, ১০ হেক্টার মরিচ, ৪ হেক্টর জমির আখ, ৬২ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে ২ হাজার ৩শ ল্যাট্রিন ও ২ হাজার ৭শ ৩৬টি নলকুপ পানিতে ডুবে গেছে।
পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়ির পাশে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দি একটি পরিবার (ছবি- দৈনিক অধিকার)
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনার পানি কমলেও শনিবার বেলা ১২টায় বাঙালী নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে এখন ১১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল সকাল ৯ টায় যমুনার পানি কমে বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বগুড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুজ্জামান জানান, গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৮৫০পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যালেট বিতরণ করা হায়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবিলায় ৬শ টন জিআর চাল, ১০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ২৬৩ মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড