মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সানজিদা দিপ্তীকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যার মূল হোতা সাজ্জাদ খানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ খান মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাকদি এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে মাদারীপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৮-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) আতিকা ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যে পুকুর থেকে মাদ্রাসাছাত্রী দিপ্তীর লাশটি উদ্ধার করা হয় সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি সিমেন্টের বস্তা পাওয়া যায়। বস্তার ভেতরে দিপ্তীর ব্যবহৃত জামা, বোরকা, জুতা ছিল। এই আলামতের সূত্র ধরে অটোচালক সাজ্জাদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ স্বীকার করে যে, গত ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার মুষলধারে বৃষ্টি চলাকালীন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল থেকে বোরকা পরা কিশোরী যাত্রীকে নিয়ে চরমুগুরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় ইজিবাইকে অন্য কোনো যাত্রী না থাকায় তিনি চরমুগুরিয়া রাস্তায় না গিয়ে পূর্ব খাকদির দিকে চলে যান।
এ সময় যাত্রী দিপ্তী অন্য রাস্তায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে চালক সাজ্জাদ বলেন, পাশেই অবস্থিত তার বাসায় জরুরি একটু কাজ আছে। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চালক রাস্তার পাশেই তার বাসার সামনে চলে আসে। এ সময় দিপ্তী চিৎকার করলে তার গলাচেপে ধরা হয়। এতে দিপ্তী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে সাজ্জাদ মেয়েটিকে নিজের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানায়, সাজ্জাদের স্ত্রী ও সন্তানরা শ্বশুর বাড়িতে থাকায় বাড়িটি পুরোপুরি নির্জন খালি ছিল। এরপর লাশটি গুম করার জন্য সাজ্জাদ রাতের জন্য অপেক্ষা করে। এ সময় মেয়েটির গায়ের কাপড়, জুতা একটা সিমেন্টের বস্তায় ভরে রাখে। পরে নিহতের পেটে চাকু দিয়ে কেটে শরীরের সঙ্গে কয়েকটা ইট বেঁধে দেয়। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পাশের পরিত্যক্ত পুকুরে লাশ ও কাপড়ের বস্তা ডুবিয়ে রাখে সাজ্জাদ। ঘটনার দুদিন পর দিপ্তীর লাশ ভেসে উঠলে অন্যান্য উৎসুক জনতার মতো অভিযুক্ত সাজ্জাদও ওই লাশ দেখতে যায়।
এ ঘটনায় দিপ্তীর বাবা মজিবর ফকির বিলাপ করে বলেন, আমার এতটুকু মেয়ের সঙ্গে অনেক বড় অন্যায় করা হয়েছে, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যেন তার ফাঁসি হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯২ সালে সাত বছরের এক শিশুর কানের গহনা চুরির উদ্দেশ্যে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার দায়ে ১৮ বছর কারাভোগ করেন সাজ্জাদ। পরে ২০১১ সালে মুক্তি পান তিনি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড