শেরপুর প্রতিনিধি
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের শাখা মৃগী নদীতে পানির প্রবল চাপে সদর উপজেলার বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের বেতমারি বেড়িবাঁধ প্রায় ২০০ ফুটের মতো ভেঙে যাওয়ায় চরপক্ষীমারী, কামারেরচর, বলাইয়েরচর, বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ও চরশেরপুর ইউনিয়নের আরও কিছু এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে বেতমারি, চরখারচর, ঘুঘুরাকান্দিসহ আশপাশের পাঁচ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে খুনুয়া-ঘুঘুরাকান্দি সড়ক তলিয়ে যাওয়া ও কয়েক স্থানে ভাঙনের কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে পোড়ার দোকান ও শিমুলতলি ডাইভারশনের উপর দিয়ে প্রায় ৮ ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শেরপুর জেলায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
বেতমারি এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী, সোরহাব উদ্দিন, ফকির মাহমুদসহ অনেকে বলেন, হঠাৎ বেড়িবাঁধে ভাঙনের ফলে আমাদের বাড়ি-ঘরে পানি এসেছে। এতে আমরা খুব কষ্টে আছি।
এদিকে শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বেতমারি বন্যাদুর্গত এলাকায় পরিদর্শনে যান শেরপুর সদর আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি। এ সময় তিনি বন্যাদুর্গতদের সাথে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতার করার আশ্বাস প্রদান করে সবাইকে ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পরামর্শ দেন।
জেলা ত্রাণ অফিসের তথ্যমতে, জেলায় বন্যার্তদের মাঝে ৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণের পর আরও ৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া সদরে আরও নগদ এক লাখ টাকা বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে সদর, ঝিনাগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় শিশুসহ সাতদিনে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড