মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ধীর গতিতে চলছে ফেরি। তারপরও রয়েছে ফেরি সঙ্কট। তীব্র স্রোতের কারণে ১৮টি ফেরির মধ্যে চলছে মাত্র তিনটি ফেরি। পদ্মার স্রোতের ধাক্কা সইতে না পেরে গত চারদিন ধরে অলস সময় কাটছে ফেরিগুলোর। ঘাটের উভয়পাড়ে আটকা পড়েছে শত শত ট্রাক। ক্ষতির মুখে পড়েছেন চালক ও মালিকরা।
শনিবার (২০ জুলাই) সকালে শিমুলিয়া-মাওয়া মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার জুড়ে মালবাহী ট্রাকের সারি দেখা যায়। ফেরি পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে অসংখ্য যানবাহন। টার্মিনালগুলোও যানবাহনে ভরা। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরা। ব্যক্তিগত যানবাহন ও বাসগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রয়েছে।
এ দিকে ঘাট এলাকায় মাইকিং করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প নৌপথ হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মীরা।
তবে ট্রাফিক পুলিশ ও ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আগে নদী পার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার মো. আম্মেদ আলী বলেন, ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। তীব্র স্রোতের কারণে আমরা ফেরি চালাতে পাচ্ছি না। ঘাট সচল রাখতে কোনো রকমভাবে কখনো তিনটি, কখনো চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। এ অবস্থায় ঘাটে প্রায় নয় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক নাছির মোহাম্মদ জানান, পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোত ঠেলে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। দ্বিগুণেরও বেশি সময় নিয়ে শুক্রবার ভোর থেকে চারটি ফেরি চললেও স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে মাত্র তিনটি ফেরি চলাচল করছে। স্রোতের বিপরীতে ফেরিগুলো চালানো হলে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হতে পারে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড