সোনারগাঁও প্রতিনিধি, নারায়নগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। গত এক মাসে সোনারগাঁও থানায় ৫টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেয়ে বিয়ের প্রলোভনেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে বেশি। হঠাৎ করে সোনারগাঁওয়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজের লোকজন।
সোনারগাঁও থানা সূত্রে জানা জায়, গত ১১ জুন থেকে সোনারগাঁও থানার এ পর্যন্ত ৫টি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী ও তাদের স্বজনরা। এসব মামলার মধ্যে ১১ জুন রাতে মেঘনা টু ঢাকাগামী একটি বাসে এক তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় শামীম নামের এক বাস চালক। এ ঘটনায় জনতা ওই বাস চালককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১৯ জুন একটি ধর্ষণের মামলা করেন এক চাকরীজীবী নারী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রলোভনে ৭ বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের হোলদাবাড়ি গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে মোজ্জাফর। এখন তাকে বিয়ে না করায় তিনি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
এ দিকে (২৩ জুন) সনমান্দিতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তার চাচাতো ভাইসহ দুইজন। এ ঘটনায় ওই নারী সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, যেদিন তাকে ধর্ষণ করে ওই দিন রাত ৯টার দিকে তার প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘরের বাইরে চলে যায়। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার চাচাতো ভাই সালাউদ্দিন ও প্রতিবেশী আনোয়ার ওই নারীকে মুখে গামছা পেঁচিয়ে জোরপূর্বক বাড়ির পাশে একটি ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর মা তার মেয়েকে খুঁজতে বাড়ির পাশে গেলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ এক ধর্ষককে আটক করে।
চলতি মাসের ২ জুলাই একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক জামদানি কর্মীর বাবা। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার সঙ্গে একই কাজ করার সুবাদে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে কাঁচপুর ইউপির পূর্ব বেহাকৈল এলাকার আব্দুল রহমানের ভাড়াটিয়া জসিমউদ্দিনের। এর জের ধরে জসিমউদ্দিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এখন জামদানি কর্মীকে বিয়ে না করায় তার বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে গত ১৩ জুলাই এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই কিশোরীর বাবা উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রবি তার আত্মীয়। সেই সুবাদে রবি ও তার পরিবার তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করত। রবি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে ৭ থেকে ৮ মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে রবিকে বিয়ের কথা বললে সে নাকচ করে। এ ঘটনায় স্থানীরা শালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামানন জানান, সোনারগাঁওয়ে কোনো ধর্ষণের অভিযোগ আসলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গত এক মাসে আমরা ৫টি ধর্ষণের মামলা নিয়েছি এবং বেশ কয়েকজন ধর্ষণের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড