অধিকার ডেস্ক ১৯ জুলাই ২০১৯, ২২:১৩
পদ্মা নদী বেষ্টিত এলাকা রাজবাড়ী জেলা। গত পাঁচ থেকে ছয়দিনে পদ্মার পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কালুখালী, সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার বেড়ি বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে এসব এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাজবাড়ী সদর উপজেলার নয়নসুখ, মিজানপুর, গোয়ালন্দের ছোটভাকলা, দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া এবং কালুখালীর রতনদিয়ায় এলাকায় পদ্মা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) তুলনায় ২৪ সেন্টিমিটার বেশি। ফলে পদ্মা নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
প্রতিদিন পানি বেড়ে জনসাধারণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরেছে এসব এলাকা। গ্রামগুলোতে অসহায় সাধারণ মানুষ অতি কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে পদ্মা নদীর পানি উঠে পড়েছে বাড়ির আঙ্গিনায়। সন্তান-সন্ততিসহ গবাদি পশু, হাস-মুরগী নিয়ে নিয়ে এভাবেই পানিতে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নাঞ্চলের ওই সব মানুষ। এছাড়া বন্যার ফলে ডুবে যাওয়ায় মাঠের ধান, পাটসহ সবজির ক্ষেত তলিয়ে দিশেহারা এসব অঞ্চলের বানভাসি মানুষেরা।
এদিকে সদর উপজেলার নয়নসুখ গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত। সব মিলিয়ে জেলার প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসতঘর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কোথাও ঠাঁই না পেয়ে কেউ কেউ উঠেছেন রাস্তায়, উঁচু বাগান ও ভিটায়। এভাবেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন অনেকই।
বাড়িঘরে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি (ছবি : দৈনিক অধিকার)
বানভাসিরা জানান, একদিকে যেমন তাদের নেই রান্নার জায়গা। অপরদিকে গরু-ছাগল ও হাস-মুরগী নিয়ে নিরাপদে আশ্রয়ের যায়গাও নেই তাদের। প্রতিদিন নিত্য নতুন সমস্যার মধ্য দিয়ে তারা দিন কাটাচ্ছেন। তারা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পাননি তারা। এদিকে বন্যার এ নোংরা পানির কারণে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন অনেকই। অচিরেই সংশ্লিষ্টদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন ভুক্তভোগী এসব বন্যার্তরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং এর স্রোত প্রবল আকার ধারণ করেছে। রাজবাড়ী পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল পানি বাড়ার কারণে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার নয়নসুখ ও কাশিমপুর, এবং গোয়ালন্দের বেড়িবাঁধের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তবে ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বানভাসিদের পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, চালসহ নগদ টাকা মজুদ রয়েছে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড