কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিহত হওয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমার ময়না তদন্তে মিলেছে ধর্ষণের আলামত। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকালে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রীমার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, ময়না তদন্তে ধর্ষণের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। মেয়েটির পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত ছিল।
নিহত স্মৃতি আক্তার রীমা জেলার হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে এবং হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
এ দিকে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে নিহত রীমার লাশ হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মায়ের সাথে রীমা প্রায়ই বেড়াতে যেত পাকুন্দিয়া উপজেলার গাংধোয়ার চর গ্রামে নানার বাড়িতে। এখানে আসা-যাওয়ার পথে পাশের বাড়ির জাহিদের সঙ্গে রীমার পরিচয় হয়।
রীমার মামা মোস্তফা জানান, গত ১৬ জুলাই বিকালে অসুস্থ নানিকে দেখতে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে এসেছিল রীমা। এরপর ১৭ জুলাই রাতে প্রেমিক জাহিদ ভাগনি রীমাকে ডেকে বাড়ি থেকে সামনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে জাহিদের বন্ধু পলাশসহ আরও ২-৩ জন মিলে রীমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে বরই গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে। বড়ই গাছ থেকে ২০ হাত উত্তর পাশে ধর্ষণের আলামত হিসেবে কয়েকটি কনডম পাওয়া যায় বলে জানান নিহত রীমার মামা মোস্তফা।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, জাহিদসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করতে পারব।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড