কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপূত্র ও ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও টানা নয়দিন ধরে পানিবন্দি মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি এখানো বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যায় পানিতে ডুবে আরও এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৯ দিনে ১৪ জনের মৃত্যু ঘটল।
বন্যায় জেলার ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডুবে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ শিশুর। ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। এখনো পর্যন্ত বন্যায় ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৯ ঘরবাড়ি। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাঁচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টানা বর্ষণে বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদ্রাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি। অপর দিকে এক হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৪টি। এতে ১ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, বন্যার্ত সকল পরিবারে সহায়তা দেওয়া হবে। কেউ যাতে বাদ না যায় সে জন্য সকল বন্যার্তদের খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হবে। এ দিকে জেলা প্রশাসন থেকে এখনো পর্যন্ত ৫ মেট্রিকটন জিআর চাল, ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ওডি/ এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড