• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কাজ শেষ হতে না হতেই বাঁধে ধস

  রাজশাহী প্রতিনিধি

১৮ জুলাই ২০১৯, ২১:০৩
বাঁধ
নির্মিত বাঁধের ধসে যাওয়া অংশে মাটি ফেলে ঢেকে রাখা হয়েছে (ছবি : দৈনিক অধিকার)

রাজশাহীর উপকণ্ঠ সোনাইকান্দি এলাকায় পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পের নবনির্মিত বাঁধের কাজ শেষ না হতেই ধস দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারের দাবি পাশের বালুমহলের কারণে দেখা দিয়েছে এই ধস।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সরেজমিনে ধসের অংশটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ওই অংশটি মাটি ফেলে ঢেকে রাখা হয়েছে।

‘পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর থেকে সোনাইকান্দি পর্যন্ত সংরক্ষণ’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয় প্রায় আট মাস পূর্বে। কংক্রিটের ব্লক দিয়ে বাঁধাই করার কাজটি ঠিকাদারের মাধ্যমে সম্পন্ন করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রথম ধাপে পাঁচটি প্যাকেজে বুলনপুর থেকে হাড়ুপুর পর্যন্ত দুই হাজার ৬৫০ মিটার তীর রক্ষার কাজ করা হয়।

বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বরাদ্দপত্র (ছবি : দৈনিক অধিকার)

আর দ্বিতীয় ধাপে চলছে হাড়ুপুর থেকে পবার সোনাইকান্দি পর্যন্ত দুই হাজার ২৫৫ মিটার নদীর তীর রক্ষার কাজ। এই কাজ শেষের পর পদ্মাপাড়ের প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এলাকার স্থায়ী সংরক্ষণ হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, বালু ব্যবসায়ীকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা উত্তোলন বন্ধ বা রাস্তাটি অপসারণ করেনি। এ কারণে নতুন নির্মিত বাঁধে এ ধস নামে। ধসে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পুরো প্রকল্পটি। বিশেষ করে পদ্মার পানি বাড়লে সেখানে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য সরকারের কয়েক লাখ টাকাও গচ্চা যাবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অফিস আহমেদ জানান, পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে সোনাইকান্দি হতে বুলনপুর পর্যন্ত এলাকা রক্ষর জন্য নদীর তীর প্রতিরক্ষার প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সোনাইকান্দি এলকায় অবস্থিত বালুমহল থেকে উত্তোলিত বালু পরিবহনের রাস্তা সরানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ জুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও বালুমহল ইজারাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সময়মত পদক্ষেপ না নেওয়া এবং বালু উত্তোলন করে পরিবহন অব্যাহত রাখায় নতুন নির্মিত পদ্মার তীর রক্ষা বাঁধের ওই স্থানে ধস দেখা দেয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেখানে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। আগামী শুকনো মৌসুমের আগে এটি নির্মাণ বা মেরামত করা সম্ভাব নয়। তবে ওই স্থানের ধস আর যেন বাড়তে না পারে সে জন্য রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান পাউবোর ওই কর্মকর্তা।

উল্লেখ, পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৩১ কোটি টাকা দিয়ে পদ্মা নদী ড্রেজিংও করা হবে। ফলে রাজশাহী শহরের পাশে নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকবে। নদীর তীর রক্ষা ও ড্রেজিংয়ের পর ওই এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ারও ভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড