সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। মাত্র ছয় থেকে সাতদিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ২৭৭ গ্রামসহ দুটি পৌরসভার প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি অবস্থায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
প্রতিদিন যমুনার পানি বাড়ছে। রান্নাঘরসহ চুলা তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করতে না পেরে অনেকে একবেলা খেয়ে দিনপার করছেন। টাকা না থাকায় শুকনো ও তরল খাবার কিনতে না পারায় ছোট ছোট শিশুদের খাদ্যকষ্টে ভুগতে হচ্ছে।
টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। টয়লেট তলিয়ে যাওয়ায় নারীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌছেছে। সারাক্ষণ পানির মধ্যে থাকায় হাত-পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে।
বিশুদ্ধ পানি ও চরম খাবার সংকট দেখা দিয়েছে (ছবি- দৈনিক অধিকার)
এদিকে বন্যা কবলিত মানুষের অভিযোগ সরকারের পক্ষে প্রশাসন বা ইউপি মেম্বর-চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি কেউ খোঁজ নেয়নি। কিছু কিছু স্থানে দশ কেজি করে চাউল দেওয়া হলেও অধিকাংশ বন্যা কবলিতরা বঞ্চিত রয়েছে।
খাসরাজবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে খাসরাজবাড়ী বাজারে পানি ওঠে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়। মুহুর্তের মধ্যে ভাঙনে দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালামালসহ দেবে যায়।
বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি (ছবি- দৈনিক অধিকার)
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জানান, সরকার বন্যা কবলিতদের পাশে সবসময় রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত সব উপজেলায় ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ ও বিতরণ শুরু হয়েছে। হয়তো কোনো এলাকায় বিতরণ করতে একটু সময় লাগছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সব বন্যা কবলিতরা ত্রাণ সামগ্রী পাবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড