কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি ১২৩ ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদ্রাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আবার কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতোমধ্যে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। আরও চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় জেলায় ২৭৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৮টি, ২২২টি মাদ্রাসার মধ্যে ৭০টি এবং ৬১টি মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টিতে বন্যার পানি উঠেছে। এরমধ্যে ৫৫টি স্কুল, ১৭টি মাদ্রাসা ও ২টি কলেজ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা এক হাজার ২৪০টি। এর মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। আর নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৪টি। এখন ভাঙনের মুখে আরও চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার। এসব বিদ্যায়য়ের প্রায় তিনশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে সেল্টার কাম স্কুলের সংখ্যা ৩৮টি। ফলে বন্যার পানি নেমে গেলেও পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে বেশ সময় লাগবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড