মো. জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর
বাজারে পাইকারদের ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের কবলে কৃষকরা। উৎপাদিত ফসল ৪১ কেজিতে মণ হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। শরীয়তপুরের নাড়িয়া উপজেলার ডগ্রী বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। জেলার বৃহত্তর রসুন, পিঁয়াজ, কালিজিরা, ধনিয়াসহ রবিশস্যের বাজারে কৃষক ঠকানোর এমন কৌশলে মেতেছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নশাসন, মোক্তারের চর, রাজনগর, জপসা ইউনিয়নসহ পাশের উপজেলা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক রসুন, পিঁয়াজ, ধনিয়া, কালোজিরাসহ রবিশষ্য ও মৌসুমি ফসল নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। কৃষকের উৎপাদিত ফসল কেনার জন্য শতাধিক পাইকার বাজারে অবস্থান করে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পাইকারদের নতুন নিয়মে বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাজার কমিটি ও ইজারাদারের সঙ্গে যোগসাজশে এ নিয়ম চালু করা হয়।
জানা যায়, কৌশলে বলা হয়, ৪১ কেজিতে মণ ও ১ হাজার ২৫ কেজিতে ১ মেট্রিক টন হিসাব ধরা হবে। প্রতি মেট্রেক টনে ২৫ কেজি রসুন অতিরিক্ত নেওয়া হলে বর্তমান বাজার মূল্যে কৃষক হারাচ্ছেন প্রায় ৩ হাজার টাকা। কোনো কৃষক এর প্রতিবাদ করলে অপমানিত হতে হয় ব্যবসায়ীদের হাতে।
এক কৃষক বলেন, রসুন উৎপাদনের জন্য কার্তিক মাস থেকে পরিশ্রম শুরু হয়। শ্রমিক সঙ্কট, সার বীজের দাম বেশি। নারী-পুরুষ ও শিশু সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্য মিলে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রসুন উৎপাদন করি। বাজারে বিক্রি করতে এসে সিন্ডিকেটের কবলে পড়তে হয়। ৪২ কেজি রসুন বিক্রি করতে আসি। বস্তা বাবদ ১ কেজি ও কসর বাবদ ১ কেজি বাদ দিয়ে ৪০ কেজির দাম পরিশোধ করেছে।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আকন দৈনিক অধিকারকে বলেন, বাজার কমিটি ইজারাদার ও পাইকারদের সঙ্গে আলাপ করে ৪১ কেজিতে মণ ধরে পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলার সকল বাজারে এ নিয়মে পণ্য ক্রয় হয়। নয়তো কাঁচামালের ক্ষেত্রে পাইকারদের লোকসান হয়।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড