লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসীন্দরা জানায়, ২০১৭ সালে বন্যায় সেতু ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছে ওই ইউনিয়নের লোকজন। পরে ২০১৮ সালে সেতুটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হলেও সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করে নানা টালবাহানা করে আসছে। ফলে প্রায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ।
ইউনিয়নের পাঠানবাড়ি, পূর্ব সিন্দুর্না, দক্ষিণ সিন্দুর্না, উত্তর সিন্দুর্না, হলদিবাড়ি, চর সিন্দুর্না গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র মাধ্যম নির্মাণধীন এই সেতুটি। সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়তে সমস্যায় ভুগছেন। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের কৃষি পণ্য নৌকায় করে পারাপার করছে।
লোকমান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া খাতুন বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতে খুব সমস্যা হচ্ছে। ফলে নৌকায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে।’
সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাঠানবাড়ি এলাকার আলিমুদ্দিন কলেজের প্রভাষক গোলজান আলম খান জানান, ‘সেতুটি ভেঙে যাওযায় ঠিকমত কলেজে যেতে পারছি না। এতে কলেজে পাঠদানের ব্যাঘাত ঘটছে। একই সঙ্গে ইউনিয়নের সকল ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত ক্লাসে ঠিকমত যেতে পারছে না।
এলাকার একজন ভ্যান চালক বলেন, ‘আমরা মালামাল নিয়ে যাওয়া আসা করতে পারছি না। বর্তমানে দুরের ভাড়া পাচ্ছি না, গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাড়ি না চালালে আমরা খাব কী।’
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে দৈনিক অধিকারকে বলেন, সেতুটির জন্য বাইপাস রাস্তার বরাদ্দ দেওয়া আছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার জানান, সেতুটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইপাস রাস্তা বা সেতুর পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু ঠিকারদারকে বার বার বলা হলেও তিনি কোনো ভাবেই সেটি করে দিচ্ছেন না।
বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট এ্যাক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম আমিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড