• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

টাঙ্গাইলে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

খাবার সঙ্কটে বানভাসি মানুষ, ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

  ভূঞাপুর প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল

১৮ জুলাই ২০১৯, ১৬:২৯
বন্যা
তীব্র ভাঙন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

যমুনায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপু‌র উপজেলার ৫‌টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পা‌নিব‌ন্দি হয়ে প‌ড়ে‌ছে। প্লাবিত এসব গ্রামগুলোতে খাবার ও সুপেয় পা‌নির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভাঙন ও বন্যার কারণে ওইসব দিশেহারা মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। জায়গাসহ ঘরবাড়ি হারিয়ে বহু মানুষ এখন নিঃস্ব। তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন আবার কেউবা ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে। এছাড়া বন্যার ফলে উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গো‌বিন্দাসী ইউনিয়নের চারটি গ্রাম, নিকরাইল ইউনিয়নে আটটি, গাবসারা ইউনিয়নে ছয়টি, অর্জুনা ইউনিয়নে ১৮টি ও ফলদা ইউনিয়নের তিন‌টি গ্রামের মানুষ পা‌নিব‌ন্দি হয়ে পড়েছে। এর আগে গত কয়েকদিনের নদীভাঙনে উপজেলার গো‌বিন্দাসী ইউনিয়নের তিন‌টি গ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়ে। এছাড়া বৃহস্পতিবার তারাই নামক স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন করে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি গ্রামের ভাঙ‌নে ফসলি জমি ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গেছে।

এ দিকে ভাঙন ও বন্যা কবলিত মানুষের অভিযোগ, ভাঙন‌ রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি পাউবো। সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করলে কাউকে বাড়িছাড়া হতে হতো না। আঘাত হানতে পারত না প্রমত্তা যমুনা।

স্থানীয় গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু‌নিরুজ্জামান ম‌নির জানান, তার ইউনিয়নের পুরোটাই চরাঞ্চল। বন্যার কারণে পুরো ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে বেশ কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, বন্যাকব‌লিত মানুষ‌দের সহযোগিতার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাসেবার জন্য মোবাইল টিম গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শা‌হিনুর ইসলাম জানান, তীব্র ভাঙন ও পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যাকব‌লিত এলাকার বিদ্যালয়গু‌লো বন্ধ রাখা হয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি এখন বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড