শেরপুর প্রতিনিধি
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙণ অংশ দিয়ে বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবেশ করায় চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে এক মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুইঁ ছুঁই করছে। এতে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) উপর দিয়ে প্রবলবেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও যেকোনো সময় শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে রাজধানী ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
স্থানীয়রা বলছেন, হঠাৎ করে গত রাত থেকে এই ডাইভারশনে পানি এসেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। যেকোনো মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে শেরপুর-জামালপুর যানবাহন চলাচল।
রহমত আলী, মজিবর রহমান, খলিলুর রহমানসহ অনেকে বলেন, রাতে পানি এসেছে। কিন্তু সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবলবেগে বন্যার পানি যাচ্ছে। আমাদের বাড়ি আশেপাশে হওয়ায় আমরা খুব আতঙ্কে আছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম জানান, শুনলাম গতরাত থেকে পানি ডাইভারশন দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যেকোনো মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ২শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দি রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনো সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ৫দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড