সন্ত্রাসীকে মাদকের জন্য চাঁদা দিতে ব্যর্থ, ভ্যান চালকের আত্মহত্যা

সন্ত্রাসীরা দরিদ্র অটোভ্যান চালক হোসেন সরদারের ভ্যান কেড়ে নিয়ে চাঁদা দাবি করায় ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নে মধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসীরা ভ্যান কেড়ে নেওয়ার পর ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। তিনি সে টাকা যোগাড় করতে না পারায় রুটি-রুজি বন্ধের মুখে বিষপান করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যান ভ্যান চালক হোসেন সরদার।

নিহত হোসেন সরদার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত সেলাই সরদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের হোসেন সরদার নামে এক দরিদ্র অটোভ্যান চালক ঋণ নিয়ে একটি ভ্যান গাড়ি কেনেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই সুজানগর পৌর এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী-মাদক কারবারি ভ্যান চালক হোসেন সরদারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় সন্ত্রাসীরা তার ভ্যানটি কেড়ে নেয়।

গত কয়েকদিন ধরে ভ্যান চালক হোসেন বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরে এর প্রতিকার চান। কিন্তু কারো সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষোভে-অভিমানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করার জন্য বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খান তিনি।

পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে দ্রুত হোসেনকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১২টার দিকে হোসেনের মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, তার স্বামী সুজানগরে কয়েকজন জন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জনের কাছে বারবার গিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। একটা বিহিত হলে আজ তার স্বামীকে অকালে প্রাণ হারাতে হত না বলে জানান নিহতের স্ত্রী।

সুজানগর থানার ওসি (তদন্ত ) হাদিউল ইসলাম জানান, পুলিশ বুধবার তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুজানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওডি/এএসএল