জামালপুর প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ৫২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জেলার ৫২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুরের মাছ, গরুর খাবার, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনে পানি উঠায় রেল চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা কবলিত এলাকায় ৫৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এদিকে জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় প্লাবনের দুর্গতিতে আছে ৭৮ হাজার পরিবারের ৫ লাখের অধিক মানুষ। তবে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকনো খাবারের তীব্র অভাবের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে চর্মরোগ এবং শিশুদের সর্দি-জ্বর।
বন্যা কবলিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে যাওয়া পরিবারের সদস্য ও গরু ছাগল নিয়ে উচুঁ জায়গায় আশ্রয়ের জন্য ছুটাছুটি করছে। আর অধিকাংশ মানুষ বলছে তারা দুইদিন থেকে চুলা জ্বালাতে পারেনি, পেটে কোনো খাবার নেই। সরকারের কাছে দ্রুত খাবারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের জন্য ৬শ ৫০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও বণ্টন করেছে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, জেলায় ১৪টি করে মেডিকেল টিম দেওয়া হয়েছে।
মো. শফিকুল ইসলাম জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জানিয়েছেন, বন্যায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড