• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙন অব্যাহত

  নাগরপুর প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল

১৬ জুলাই ২০১৯, ১৬:২০
নদী ভাঙন
নদী ভাঙনের পূর্বে জিনিস পত্র সরিয়ে নিচ্ছে একটি পরিবার (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এই দুটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপরে এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে যমুনা নদীর তীরবর্তী নাগরপুর উপজেলার আগদিঘুলিয়া, নিশ্চিন্তপুর ও পাইকশা মাঝাইল গ্রামে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার কাজীবাড়ি ও কেদারপুরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে গৃহহীন হয়েছে বহু পরিবার। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বলছে আগামী বুধবার (১৭ জুলাই) পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাইকশা মাঝাইল, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শতশত পরিবার যমুনা নদীর ভাঙনে গৃহহীন হয়ে তাদের ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ পানি ও খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাইকশা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমানুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনে হুমকির মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়টি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে আগামী দুই একদিনের মধ্যে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

অপরদিকে ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মোকনা ইউনিয়নের কাজীবাড়ি ও কেদারপুরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। মোকনা ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান কোকা জানান, নদীর পানি এভাবে ভাবে বাড়তে থাকলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। তাছাড়া হুমকির মধ্যে রয়েছে কাজিবাড়ি মধ্যপাড়া কবরস্থান।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপরে এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি উপজেলার শামসুল হক সেতুর এখানে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত এ সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পাবে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পানি কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর পানি কমলে ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। আমাদের যে সকল উঁচু প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে পাইকশা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষায় সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড