লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বাঁধ ও সড়কের ভাঙা অংশ গুলো দিয়ে তিস্তার পানি সতী নদী হয়ে শহরে প্রবেশ করছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পরদিন শনিবার সকালে পানির চাপে হাতীবান্ধাহাট থেকে বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়ক ভেঙে তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে বাঁধ ও সড়ক ভেঙে জেলার পাঁচ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন। শনিবার বিকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। পানির শব্দে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিস্তা নদীর ভয়ঙ্কর রূপ আর গর্জনে পানিবন্দি লোকজনের চোখে ঘুম নেই।
তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখেছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেই ভাবেই সহযোগিতা করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড