• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সেতুতে উঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো

  রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী

১৪ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৮
জামালপুর
বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযোগ সড়ক

জনদুর্ভোগ লাঘবে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। নামেই এটি দাঁড়িয়ে আছে নদীর ওপর। সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে যমুনার শাখা লৌহজং নদীর বইরাগী ঘাটে সেতুটি নির্মিত হয়েছে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে।

সেতুটি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বাদাই এলাকার সীমান্তবর্তী। সেতুটি নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে দুই জেলার হাজার হাজার মানুষ। এতে শিশু, নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থী ছাড়াও রোগী নিয়ে পার হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জেনেও কোনো প্রতিকার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আওতায় ২০১৭ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলার নরপাড়া ও গোপালপুর উপজেলার বাদাই এলাকার সীমান্তবর্তী লৌহজং নদীর বইরাগী ঘাটে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটির নির্মাণ কাজ করেন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু।

দুইটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এ নদী পথটি। দুই বছর ধরে সেতুটি নির্মিত হলেও পশ্চিমপ্রান্তে সংযোগ সড়ক করা হয়নি। ফলে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি।

শুকনো মৌসুমে নদীর তলদেশে হেটে পার ও বন্যার সময় নৌকাই ভরসা। তবে সেতু নির্মাণের পর স্থানীয়রা এখন বাঁশের সাঁকো বানিয়ে কোনোরকম যাতায়াত করছে।

বাদাই গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বলেন, ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ৪/৫টি গ্রামের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। এ সব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নদী পার হতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এছাড়া হাট বাজার করতে এলাকাবাসীকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর সদর যেতে হয়। অথচ সেতুটি কাজে লাগাতে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলে যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘব হবে।

নরপাড়া গ্রামের মুন্সী সেকান্দার আলী জানান, ‘সীমান্তবর্তী মানুষদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। দুই বছর আগে সেতু হলেও সড়কে মাটি নেই। সেতুর পশ্চিম পাশের সড়কটি সংস্কারের জন্য পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় বলেন, জমি নিয়ে কিছু সমস্যা আছে, তাই সেতুর সংযোগ রাস্তা করা সম্ভব হয়নি।

গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস তালুকদার ঠান্ডু বলেন, সেতুর দুই প্রান্তের মানুষের যাতায়াত সমস্যা দূর করতেই দুই বছর আগে এটি নির্মাণ করেছি। গোপালপুর অঞ্চলে সংযোগ সড়ক থাকলেও সরিষাবাড়ীর সীমানায় সড়ক নেই। এটি নির্মাণ করা সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্ব। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দুর্ভোগ কমছে না।

সরিষাবাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওডি/আরবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড