• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঢলের পানি রূপ নিয়েছে বন্যায়

  দুর্গাপুর প্রতিনিধি, নেত্রকোণা

১৪ জুলাই ২০১৯, ২০:১৯
বন্যা
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুল মাঠ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বন্যায় রূপ নিয়েছে। পাহাড়ি সোমেশ্বরী নদীর পানি প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল গুলোতে। তবে নতুন করে উজান থেকে পানি না আসায় স্বাবাভিক হতে শুরু করেছে সোমেশ্বরীর পানি।

এর আগে গত ১০ জুলাই বুধবার থেকে শুরু হয়ে দফায় দফায় বাড়তে থাকে সোমেশ্বরীর পানি। ঢলে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুই পাড় ফুলে ফেঁপে উঠে। এর ফলে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়ে কুল্লাগড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।

তবে বরিবার (১৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি প্রবাহ স্বাবাভিক হলেও ঢলে পানি রূপ নিয়ে বন্যায়। উপজেলার বিরিশিরিতে ২০টি, কাকৈরগড়ায় ৩৫টি, বাকলজোড়ায় ১৯টি, গাঁওকান্দিয়ার ২০টি, চন্ডিগড় ইউনিয়নে ১০টি সহ মোট ১০৪টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়েছে হাজারো মানুষ। বন্ধ হয়েছে ১০টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ফারজানা খানম দেওয়া সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনে ঢলের পানি বন্দি গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার, চালসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এদিকে নদী ভাঙন ও ঢলের পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড বারইকান্দি, ভূলাপাড়া কামালখালী গ্রাম। কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোমেশ্বরীর তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শতাধিক বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ধর্মীয় স্থাপনা। ভাঙন আতঙ্কে অনেকই নদীর পার থেকে ঘরবাড়ি ভেঙে বাসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে।

তবে ভাঙন প্রবল এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তারা।

এছাড়াও বন্যায় পানিবন্দি হয়ে জীবন যাপন করছেন কাকৈরগড়া, বাকলজোড়া, গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজারেরো বেশি মানুষ। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তেমন কাউকে দেখা যায় না কেন্দ্র গুলোতে। অনেকই অভিযোগ জানিয়েছেন যেসব শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই না খেয়েই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বেশিরভাগ গ্রামবাসী। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার সঙ্কটও। পানি নিয়ে সব কিছুর পাশাপাশি টিউবওয়েল গুলো ডুবে যাওয়ায় নিরাপদ পানি পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও ?

এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকা ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার জানায়, আমাদের এসব এলাকা বন্যার পানিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকা গুলো সাময়িক একটা ব্যবস্থা করে কিভাবে ক্ষতি কমানো যায় এই ব্যবস্থায় করছি এবং পরবর্তীতে স্থায়ী একটা ব্যবস্থা করবো।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড