চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সদর উপজেলার গুলিশা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী বেবী বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার পর ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী খোরশেদ আলম পাটওয়ারী (৬০)।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে শহরের মিশন রোড এলাকায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন খোরশেদ।
এর আগে রবিবার ভোর রাতে স্ত্রী বেবী বেগমকে নিজ বাসায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে খোরশেদ।
হত্যার শিকার বেবী বেগম জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত আবুল হাশেম শেখের মেয়ে। আর খোরশেদ আলম সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আবদুল কুদ্দুছ পাটওয়ারী ছেলে। নিহত বেবী-খোরশেদ দম্পতির ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের সকলেরই বিয়ে হয়েছে।
নিহত বেবী বেগমের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, সকালে ভগ্নিপতি খোরশেদ আলম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পর সদর হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যু সংবাদ আসে। ভগ্নিপতির মৃত্যুর সংবাদটি দিতে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের দরজায় তালা দেওয়া। পরে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি বেবী বেগমের রক্তাক্ত মৃতদেহ।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী জানায়, প্রায়ই খোরশেদ আলম তার স্ত্রীকে মারধর করত। নিহত দম্পতির ৩ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় খোরশেদ ও তার স্ত্রী বেবী একাই বাড়িতে থাকতেন।
চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রব জানান, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে বেবী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে খোরশেদ আলমের মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড