বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানে টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা দুর্গতরা। শনিবার (১৩ জুলাই) বান্দরবান শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর এলাকার বালাঘাটা, হাফেজ ঘোনা, বাস স্টেশন এলাকা, ওয়াপদা ব্রিজ, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও খিচুরি দেয়া হলেও প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এ দিকে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এ দিকে, বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতা মুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার কয়েক ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত শুক্রবার রাতে পানি কিছুটা কমলেও ভোর রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় তিনটি নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বান্দরবানের ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা হলেও পরে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩টি। জেলা সদরের ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা উঁচু জায়গা ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় চতুর্থ দিনের মতো সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের কারণে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এই বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, টানা এক সপ্তাহের ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দরবানের সাত উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড