‘আলতাফই আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করেছে’ 

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় এক কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে প্রেমিক পারভেজ হোসেন আলতাফের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই তরুণী। প্রেমিকের বাড়ির লোকজন তাড়িয়ে দিলে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী বিষপান করেন। তবে চিকিৎসা শেষে এখন কিছুটা সুস্থ আছেন তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার (৮ জুলাই) বিকালে উপজেলার জোড়াদহ কলেজের ওই ছাত্রী জোড়াদহ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ওমর আলী মণ্ডলের বাড়িতে অবস্থান নেন। তখন তার হাতে ছিল ডাক্তারি পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট।

ছাত্রীর দাবি, ওমর আলীর প্রবাসী ছেলে পারভেজ হোসেন আলতাফের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কারণে ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। ঘটনার দিন ওই ছাত্রীকে ছেলের পরিবারের লোকজন তাড়িয়ে দিলে রাতেই তিনি বিষপান করেন। এতে ছত্রীটিকে প্রথমে হরিণাকুণ্ডু হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করে জানান, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়েছে তার মেয়ে ২০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। জোড়াদহ গ্রামের ওমর আলী মণ্ডলের ছেলে পারভেজ হোসেন আলতাফ আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তার মেয়ে ঝিনাইদহের একটি আদালতে অভিযোগ করেছেন। তবে এখনও কোর্টের আদেশ হয়নি।

এ বিষয়ে জোড়াদহ ইউনিয়নের মেম্বার দেবাশীষ কুমার সরকার জানান, ৪ মাস আগে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠক করে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করা হয়। দুই পরিবারের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের পর ছেলে পারভেজ হোসেন আলতাফ দুবাই চলে যায়। সে সময় তো প্রেমের সম্পর্কের কথাই জানতাম। এখন মেয়েটি বলেছে সে নাকি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কীভাবে কি হলো তাও আমরা বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের কেউ এখনো থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

ওডি/এসএএফ