বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার ১৬ দিন আজ শুক্রবার (১২ জুলাই)। তার হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেলে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আর এ ঘটনার পর থেকে বৈরী আবহাওয়ায়ও বরগুনা জেলা ও জেলার আশপাশের এলাকায় ২৪ ঘণ্টা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চেকপোস্ট বসানো হয়েছে জেলার বিভিন্ন সড়কে। এদিকে এক সপ্তাহ ধরে হালকা ও ভারী বৃষ্টি বর্ষণের মধ্যেও চলমান রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ও প্রশাসনের নজরদারি। এতে বন্ধ হয়েছে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক অপকর্ম। সব যানবাহনে তল্লাশির ফলে মাদক কারবারিদের আনাগোনা নেই শহরে। এতে স্বস্তিতে রয়েছে জেলার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনা জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে টাউনহল বাসস্ট্যান্ড-পুরাকাটা, বরগুনা-বেতাগী-বরিশাল-নিশানবাড়ীয়া-বড়ইতলা-পরীরখাল-কালীবাড়ি-স্টেডিয়াম রুটে চেকপোস্ট বসিয়ে সব যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছে পুলিশ। এতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শহরের যানজট ও মাদক কেনাবেচা।
সদর উপজেলার আয়লা বাজার থেকে বরগুনা আসার পথে মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন যানবাহনের ড্রাইভাররা। কাগজ ঠিক থাকলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, আর কোন প্রকার অনিয়ম থাকলে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। বরগুনা থেকে দূরপাল্লায় ছেড়ে আসা বাস-লঞ্চ এ চলছে বিশেষ অভিযান।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় গাড়ির ড্রাইভার ও যাত্রীদের সঙ্গে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে তারা জানায়, বিগত দিনে বরগুনায় এমন কড়া নিরাপত্তা দেখেনি। এ কারণে চুরি ছিনতাই মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। আর এরকম অভিযান যেন সর্বদা চলমান থাকে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তারা।
বরগুনার ডৌয়াতলা এলাকার বাসিন্দা সোহাগ জানান, কিছুদিন আগেও আমাদের এলাকায় নিত্যনতুন মোটরসাইকেলে এসে মাদক সরবরাহ করে দ্রুত বেগে তারা চলে যেতো। আর এসব মোটরসাইকেল নিয়ে অল্প বয়সী ছেলেরাই বেশি আনাগোনা করতো। রাস্তায় চেকপোস্ট থাকার কারণে এখন আর এলাকায় কোনো মোটরসাইকেল আসে না। মাদক ব্যবসায়ীরাও রয়েছে চরম আতঙ্কে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বরগুনা জেলার দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, এভাবে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা থাকার কারণে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সব আসামি ধরা পড়ছে। বন্ধ হতে শুরু করেছে চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যাবসা। এভাবে সবসময় পুলিশের চেকপোস্ট থাকা উচিত।
বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, মাদক বহন ও বিক্রি থামাতে এমন অভিযান চলবে ও চেকপোস্ট বসানো থাকবে। রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের সব ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যা মামলার আসামি যারা এখনো ধরা পড়েনি তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। শিগগিরিই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। কোন প্রকার অনিয়ম হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড