কবির হোসেন কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি
কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মীর শাহরিয়া ইসলাম সাকিব নামের এক ক্ষুদে বিজ্ঞানী নেশা জাতীয় দ্রব্য শনাক্তকরণ যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। এই ক্ষুদ্রে বিজ্ঞানীর অনন্য আবিষ্কার এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে পুরস্কার জিতেছে।
যন্ত্রটির নাম দেওয়া হেয়েছে- `অ্যালকোহল ডিটেক্টর অ্যান্ড অটোসি-সিকিউরিটি' বা মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ মেশিন। এই যন্ত্রটির একটি প্রসেসর, সেন্সর ও একটি ডিসপ্লে স্পিকার রয়েছে। যখন এ যন্ত্রটির আওতায় কেউ মাদকদ্রব্য পান করে বা সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করবে তখনই এ সেন্সরটি বেজে উঠবে। এর পরপরই প্রসেসরের মাধ্যমে তথ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডিসপ্লেতে দেখাবে।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী সাকিবের আবিষ্কৃত যন্ত্রটি বিমানবন্দর, হাসপাতাল, যাত্রীবাহী গাড়ি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারখানা, অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো স্থানে স্থাপন করা যাবে। এতে করে কেউ যদি মাদকদ্রব্য পান করে বা বহন করে তাহলে যন্ত্রটি আগাম বার্তা দিয়ে সর্তক করে দেবে। এই সর্তকবার্তার কারণে খুব সহজেই মাদক পান ও বহনকারীকে শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া যন্ত্রটি গাড়িতে স্থাপন করলে কোনো চালক যদি মাদকদ্রব্য পান করে গাড়ি চালায়; তাহলে দ্রুত সেন্সরটি বেজে উঠে সবাকে সর্তক করে দেবে।
এ বিষয়ে ক্ষুদ্রে বিজ্ঞানী মীর শাহরিয়া ইসলাম সাকিব বলেন, এ যন্ত্রটি তৈরি করতে আমার দুই হাজার পাঁচশ টাকা খরচ হয়েছে। এবং আমার তিন বন্ধু রায়হান, ইমরান ও সাইফ আমার কাজে আমাকে সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে চালকদের মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে গাড়ি চালানোর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। ফলে অনেক স্কুল,কলেজ শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই বর্তমান সময়ে এটি অতিগুরুত্বপূর্ণ ভেবে আমি যন্ত্রটি উদ্ভাবন তৈরি করেছি। এছাড়া প্রতিনিয়ত বখাটেরা মদ্যপান করে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করছে। এ যন্ত্রটি থাকলে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এদিকে সাকিব তার নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কাপ্তাই উপজেলা পর্যায়ে ও রাঙ্গামাটি জেলা পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলায় দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করে।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো- এসব কর্মসূচি নিয়ে কাজ করা এবং বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। তার বাবা রফিকুল ইসলাম মীর একজন বনপ্রহরী। তিনিও চান তার ছেলে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হোক। বাবা সব সময় এ সকল ব্যাপারে উৎসাহ দেয় বলে উল্লেখ করেন।
আর তার মা গৃহিণী শারমিন আক্তার চান ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। প্রতিদিন অনেক লোক ও বন্ধুরা এ ক্ষুদে বিজ্ঞানীর আবিষ্কার করা যন্ত্রটি দেখতে আসেন।
এ দিকে স্কুলের শিক্ষকরাও এ অবিষ্কারে অনেক খুশি বলে মন্তব্য করেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড