ফটিকছড়ি প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধশত গ্রামের মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৫০ হেক্টর আউশ, ৪০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা। হালদা ধুরুংসহ বিভিন্ন খাল ও নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরী, সমিতিরহাট, বখতপুর, জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে রয়েছে অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দা। দাঁতমারা ইউনিয়নের হেয়াকো ফটিকছড়ি সড়কে বটতল এলাকায় একটি ব্রিজ ভেঙে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে হালদা ধুরুংসহ বিভিন্ন খাল নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙা বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং বণিক পাড়া ও কুমার পাড়ার সামনে ধুরুং নদীর সংস্কার করা অংশ নদীতে তলিয়ে গিয়ে সরু হয়ে গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে পশ্চিম দিকে ভেঙে গিয়ে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া নারায়নহাটে কয়েকটি মাটিরঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পানিতে ডুবে রয়েছে ভুজপুর ইউনিয়ন পরিষদের আঙিনা। সমিতির হাট ইউনিয়নে হালদায় বিলীন হয়েছে সাত বসতঘর। খিরামের পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার লিটন দেব নাথ বলেন, অব্যাহত বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আউশ ধান ৫০ হেক্টর ও আমন ধানের ৪০ হেক্টর বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বলেন, আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খবর নিচ্ছি। তালিকা প্রস্তুতি চলছে এবং ঊর্ধ্বতন মহলকেও জানানো হয়েছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড