• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভালো নেই তাঁতপল্লীর কারিগররা

  আব্দুস ছালাম সফিক, সাটুরিয়া প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

১১ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩১
তাঁত শিল্প
কাজ করছে তাঁত শিল্পের কারিগররা ( ছবি : দৈনিক অধিকার )

ভালো নেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তাঁতপল্লীর শাড়ি তৈরির কারিগররা। এক সময় যাদের হাতে জামদানী শাড়ি তৈরি হতো, এখন সেই হাতে তারা ভ্যান-রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

তবে এখন পর্যন্ত যারা এ পেশা টিকিয়ে রেখেছেন তাদেরও দিন চলছে অতি কষ্টে। ভারত থেকে আসা শাড়ি দখল করে নিয়েছে তাঁতপল্লীর তাঁতে তৈরি শাড়ির বাজার।

মানিকগঞ্জ শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার উত্তরে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার গ্রামে তাঁতের শাড়ি তৈরির কারিগরদের বসবাস।

বরাইদ এলাকার গ্রামেই আরেক পাড়ার নাম আগ সাভার। এক সময় দুইপাড়ার ২৫০টি পরিবারে তৈরি করা হতো জামদানী, বেনারসি, গামছা, সুতি, হাফসিল্ক ও লুঙ্গী। আর এ কারণেই জামদানী পল্লী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে এলাকাটি।

তবে জামদানী পল্লীতে এখন আর জামদানী শাড়ি তৈরি হয় না। এ পল্লীতে এখন কাতান, জামদানী, এনডি কটন, এনডি সিল্ক, সুতি শাড়ি, থ্রি পিচ, ওড়না, ধুপিয়ানসহ তাঁতে তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। তাও আবার সীমিত আকারে। দিন দিন চাহিদা কমে যাওয়ায় শাড়ি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাঁত।

তাঁত শিল্পের কারিগররা ( ছবি : দৈনিক অধিকার )

সাটুরিয়ার তাঁতপল্লীর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাউদ হাসান লাভলু জানান, সাটুরিয়ার তাঁত পল্লীর তৈরি শাড়ির চাহিদা এতটাই ছিল যে, ঢাকার বিভিন্ন শাড়ির শো-রুম থেকে আগাম টাকা দিয়ে অর্ডার দেয়া হতো। সারা বছরের পাশাপাশি বছরের দুটি ঈদ ও বৈশাখ মাসে চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। এ কারণে বছরের দুই ঈদ ও বৈশাখের শুরুতে দিন রাত কাজ করতে হতো কারিগরদের। তবে গত কয়েক বছর ধরে ভারত থেকে শাড়ি আসায় ও কাচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কদর কমে গেছে। ভারতীয় শাড়ির দাম কম হওয়ায় সেগুলো বাজারে চলে বেশি।

তিনি আরও জানান, এ কারণে একের পর এক তাঁত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারিগরদের বেকার সময় পার করতে হচ্ছে। এতে অনেকেই ভ্যান-রিকশা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছে।

তাঁতপল্লীর তাঁত মালিক মো. হালাল মিয়া জানান, আগের মতো কাজ নেই পল্লীতে। তারপরেও ৪টি তাঁত রয়েছে বাড়িতে। সেখানে কাজ করে ৯ জন কারিগর।

স্থানীয় মিনহাজ উদ্দিন জানান, গত পাঁচ বছর ধরে কাজ না থাকায় ১৩টি তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গত ১০ বছরে এখানকার কমপক্ষে ১ হাজার ২শ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

হাফসিল্ক শাড়ি তৈরির কারিগর মো. শুকুর আলী জানান, একদিনে তাঁতে দুই থেকে তিনটি শাড়ি তৈরি করা যায়। আবার যেগুলোতে হাতের কাজ বেশি সেই শাড়ি তৈরি করতে তিন দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়।

ওডি/এসএএফ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড