নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
অনেক স্বপ্ন ছিল টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দক্ষিণ নাগরপুর এলাকার কৃষক পরিবারের সন্তান বন্যা আক্তারের চোখে মুখে। ছোট বেলা থেকেই পুলিশে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল বন্যার। চাকরি করে অভাবের সংসারের হাল ধরবেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছিল।
গত বছর পুলিশে চাকরির ভাইভা পরীক্ষা দিয়েও চাকরি না পেয়ে ভেঙে পরেননি তিনি। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে বন্যা সবার ছোট বন্যা পড়াশোনা করছেন নাগরপুর মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। বাবা সোরহাব মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। অভাবের সংসারে ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার সেই সামর্থ্য নেই বন্যার। কিন্তু এবার তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন চাকরিতে কোনো ঘুষ লাগবে না, ১০৩ টাকায় পুলিশের চাকরি পাওয়া যাবে। পরে আবেদনের পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার পর চাকরি হয় বন্যার।
এ ব্যাপারে বন্যা আক্তার বলেন, ‘আমি কখনো কল্পনাই করতে পারিনি যে ১০৩ টাকায় চাকরি পাবো। কিন্তু ঘুষ ছাড়াই চাকরি দিয়ে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা গ্রামের কলেজ ছাত্রী রিনি আক্তারের পুলিশে চাকরি হয়েছে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রিনি মেঝো।
এ ব্যাপারে রিনি আক্তার বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল পুলিশের চাকরি করে জনগণের সেবা করবো। প্রথম দিকে আমার আবু-আম্মু আমাকে সায় না দিলেও পরবর্তীতে আমাকে উৎসাহ যোগায়। পুলিশে চলতি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ঘুষ ছাড়াই আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়।
রিনি আক্তারের মা বিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ঘুষ ছাড়াই চাকরি পেয়েছে এতে আমি খুবই খুশি। আমি দোয়া করি সে যেন মানুষের সেবা করতে পারে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘আমি আশাবাদি ছিলাম স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতেই পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই মাত্র ১০৩ টাকায় ১৩৬ জন তরুণ-তরুণীর চাকরি হয়েছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড