বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদের ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ৩শ মিটার বেড়িবাঁধসহ ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে সেখানের পাঁচটি দোকান ও কয়েকশ গাছপালা নদীতে ভেসে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (০৬ জুলাই) ও রবিবারের (৭ জুলাই) ভাঙনে উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের আশার আলো মসজিদ কাম সাইক্লোন শেল্টারের সামনের প্রায় ৩শ মিটার বেড়িবাঁধ ও ১০ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই তাদের ঘর, দোকানপাট, গাছ-পালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি গড়িয়ে আমনের বীজতলাসহ বাড়ি-ঘর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাউথখালীর হাজার হাজার মানুষ। ঘটনার পর শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস রবিবার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলী খান বলেন, শনিবার সকালে আশার আলো মসজিদের সামনের বেড়িবাঁধসহ প্রায় সাত বিঘা জমি আমার চোখের সামনেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে আমার একটি দোকান ঘরও নদীতে ভেসে যায়। শুধু আমার নয় আরও কয়েক জনেরও দোকান ঘর নদীতে ভেসে গেছে।
সাউথখালী গ্রামের সালাম শেখ বলেন, শুধু একটি টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে প্রায়ই তাদের ভাঙনের কবলে পড়তে হয়। নদীর পানিতে ভেসে যায় ঘর-বাড়িসহ মূল্যবান সম্পদ। ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। এখানে অতিদ্রুত বাঁধ নির্মাণ না হলে, জোয়ারে এ ভাঙন থেকে পানি ঢুকে সাউথখালীর অন্তত আটটি গ্রাম প্লাবিত হবে। ফলে আমন ধানের চাষ করতে পারবে না চাষিরা। এ অবস্থায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কাছে অতিদ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই একের পর এক বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিআইপি প্রকল্পের লোকজন। যার ফলে বেড়িবাঁধের বগী এলাকা বারবার ভাঙছে। যার ফলে এলাকার মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সঙ্গে না দেখলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
সিইআইপি প্রকল্পের শরণখোলার প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে থেকে রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণ শুরু হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, ভাঙনের বিষয়টি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুবছরে সাত বার বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলাকার মানুষ।
ওডি/এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড