গাংনী প্রতিনিধি, মেহেরপুর
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় শহিদুল ইসলাম শহিদ নামে এক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ জুলাই) উপজেলার রাজার পাড়া হেমায়েতপুর গ্রামে পুত্রবধূর শ্লীলতাহানির এ অভিযোগ উঠে।
জানা যায়, শাশুড়ির অবর্তমানে শ্বশুর শহিদুল ইসলাম বিভিন্নভাবে পুত্রবধূর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত ওই পুত্রবধূ পালিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আনারুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ঘটনার খবর পেয়ে হেমায়েতপুর ক্যাম্প পুলিশের একটি টিম ওই গৃহবধূ ও শ্বশুরকে গাংনী থানায় নিয়ে আসে।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই গৃহবধূ জানান, দীর্ঘদিন যাবত হেমায়েতপুর বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী শ্বশুর শহিদুল ইসলাম শহিদ তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। সুযোগ পেলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত, সেই সঙ্গে দিত কু-প্রস্তাব। এতে রাজি না হওয়ায় কারণে-অকারণে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো তাকে।
গৃহবধূ আরও জানায়, তার স্বামী আশরাফুল সামান্য মানসিক ভারসাম্যহীন। এ সুযোগে নানানভাবে শ্লীলতাহানি করলেও স্বামী আশরাফুল কোনো প্রতিবাদ করেনি। তিনি বলেন, শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে শ্বশুর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে শনিবার সকালে তাকে একা পেয়ে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালালে তিনি চিৎকার করে পালিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ওই গৃহবধূ ও শ্বশুর শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ব্যবসায়ী শহিদুলের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর প্রতি অনৈতিক আচরণের অভিযোগ অনেক আগের। ইতোঃপূর্বে তার দুই পুত্রবধূকে যৌন হয়রানির কারণে সংসার ছেড়েছে। শহিদ প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় সমাজপতিরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনা।
গাংনী থানা পুলিশ জানায়, বাদী-বিবাদী উভয়কে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড