• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৩১ বছর ধরে পড়ে আছে স্লুইস গেইট কাম ব্রিজ

  শেরপুর প্রতিনিধি

০৬ জুলাই ২০১৯, ১২:২৬
কাম ব্রিজ
কাম ব্রিজ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে একটি ব্রিজ ৩১ বছর যাবত ভেঙে পড়ে থাকলেও কারও নজরে পড়ছে না। উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা গ্রামের একটি স্লুইস গেইট কাম ব্রিজ ১৯৮৮ সালের বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়ে আছে বিগত ৩১ বছর ধরে। সরকার বদল হয়েছে কয়েকবার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে বেশ কয়েকটি। প্রতিটি নির্বাচনের ভোটের সময় সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ওই গ্রামে ভোট নিতে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোটে জিতলেই সংস্কার হবে ব্রিজ ও স্লুইট গেইটটি। ভোট যায়, ভোট আসে কিন্তু কেউ কথা রাখেনি ওই ব্রিজ ও স্লুইট গেইটটি সংস্কার করতে।

জানা যায়, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝি নদীর উপর ১৯৮৬-৮৭ অর্থ বছরে প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সাত কপাট বিশিষ্ট স্লুইস গেইট কাম ফুট ব্রিজ। কিন্তু পরবর্তীতে নির্মাণের দেড় বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানির তোড়ে আকস্মিকভাবে ওই স্লুইস গেইটের তিনটি কপাট ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে পানির তোড়ে দুই পাশের মাটিও ভেসে গিয়ে ব্রিজটিও মাটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্লুইস গেইটটি ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে বর্তমানে প্রায় ৩১ বছর ধরে গেইটটির লোহার কপাটসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরে আছে অযত্নে আর অবহেলায়। গেইটটি দ্রুত সংস্কার করে ওই এলাকার ১৫টি গ্রামের শতশত একর অনাবাদি জমিগুলোকে সেচের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে ওইসব গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ব্রিজের সংস্কারের দাবিও জানান তারা।

এ দিকে স্থানীয়রা নিজ উদ্দোগে ব্রিজের দুই পার্শ্বে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মূল ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। কিন্তু বিগত এই ৩১ বছরে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশ-কাঠের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল ও সাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পারাপার হতে গিয়ে ইতোমধ্যে ১ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামের বিবাহযোগ্য কোনো ছেলে বা মেয়েকে অন্য এলাকার মানুষ বিয়েও করতে চায় না বলে জানালেন ভুক্তভোগীরা।

ফকির মাহমুদ, আমজাদ আলী, শরিফ মিয়াসহ অনেকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজ দিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিকের মধ্যেমে পারাপার করতে তাদের উৎপাদিত ফসল পরিবহনেও অনেক বেশি খরচ হওয়ায় তাদের সেই ফসল বিক্রি করে উৎপাদন মূল্য ওঠে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী বলেন, আগামী অর্থ বছরে পুনরায় নির্মাণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড