যশোর প্রতিনিধি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের অনুসারীরা যশোর শহরের মারকাজ মসজিদের আইনুল উলুম মারকাজ মাদ্রাসাটি ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভর্তি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও শুক্রবার (৫ জুলাই) জুম্মার পর দখল করে নেওয়ায় তাবলীগের সাদ অনুসারীরা থানায় অবস্থান নেয়। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন উভয় পক্ষকে ডেকে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিলেও হেফাজতরা প্রশাসনের আহ্বানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। এ নিয়ে তাবলীগ জামায়াতের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
তাবলীগ জামাতের অন্যতম মুরব্বি মাওলানা সাদ অনুসারী মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, চলতি বছরের ১৪ জুন ছাত্র ভর্তি নিয়ে জটিলতার কারণে মাদ্রাসাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর নেপথ্যে ছিল মশিয়ার রহমানের ভর্তি বাণিজ্য ও মাঠটি দখলে নিয়ে ইজারা দেয়া। তিনি ভর্তিকৃত ছাত্রদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেন। বন্ধ থাকার পর ১৯ জুন বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়।
এ দিকে মারকাজ মসজিদের আটজন সুরা সদস্য মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। তাদের মধ্যে মাওলানা আব্দুর রহমান, হাজী মোজাম্মেল হক, হাজী ওবায়দুল্লাহ, হাজী আব্দুর বারী, ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল ইসলাম সাদ অনুসারী আর তাবলীগ জামায়াতের মাওলানা জোবায়ের (হেফাজত) অনুসারী হাজী মশিয়ার রহমান, হাজী লোকমান হোসেন, মাস্টার নজরুল ইসলাম।
হেফাজত অনুসারী মশিউর রহমান নামে এক সদস্য মাদ্রাসার মাঠটি দখলে নিয়ে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে সায়েম নামে এক ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকায় ইজারা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এ নিয়ে সাদ পন্থীরা বারবার বাধা দেন। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পুলিশ মঈনুল হক শুক্রবার (২৮ জুন) উভয় পক্ষকে উপস্থিত হওয়ার জন্য জানালেও হেফাজতরা কেউ আসেননি।
শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সাদ অনুসারীরা পুলিশ সুপারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফিরে আসেন। এ সময় পুলিশ সুপার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে কেউ ওই মাদ্রাসা খুলতে পারবে না বলে আহ্বান জানান।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদ জুম্মা মশিউর রহমান জনৈক সিয়ামকে দিয়ে মারকাজ মসজিদের খাদেম আবুল হাশেমের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাকে আটকে রাখা হয়। এরপর তারা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে মাদ্রাসার গেট ও ক্লাসের ১০টি তালা ভাঙচুর করেন।
হেফাজতরা আজ মাদ্রাসাটি দখল করে নেওয়ায় ঈশার নামাজের পর সাদ অনুসারীরা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় অবস্থান নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। ঘটনার জেরে শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত সাদ অনুসারীরা থানায় অবস্থান নেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা সেখান থেকে চলে যান।
অপর দিকে জোবায়ের অনুসারী মিজানুর রহমান জানান, হাজী আনসার সাদ অনুসারীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় খুলেছি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড