মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড নিতে এসে ২৭ জন অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত তিনদিন ওই ইউনিয়নের বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রায় নয় হাজার ভোটারদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিরতণ করা হয়। এ সময় প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহকালে ভোটারদের অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় নয় হাজার ভোটারদের স্মার্ট কার্ড নিতে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এ সময় স্মার্ট কার্ড নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারাদিন স্মার্ট কার্ডের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। খালি মাঠে ছাউনি ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিলে সুষ্ঠুভাবে আমরা কার্ড নিতে পারতাম। প্রচণ্ড রোদের তাপ ও ভিড়ের মধ্যে পড়ে তিনদিনে অন্তত ২৭ জন অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।
বৃদ্ধ ভোটার চাঁন মিয়া বলেন, ‘ভোটের সময় ভাই ভাই, ভোট গেলে পাশে কেউ নাই। ভোট দিয়া চেয়ারম্যান বানাইছি, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্মার্ট কার্ড বিতরণের মাঠে বাঁশের বেড়া ও ছাউনি দিতে তিন-চার হাজার টাকা লাগতো। কিন্তু তা না দিয়ে চেয়ারম্যান হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিলেন। প্রচণ্ড রোদের তাপে বুধবার প্রায় আটজন ও গত দুইদিনে ১৯ জন মানুষ অজ্ঞান হয়ে মাঠে পড়ে গেছেন।’
প্রচণ্ড রোদের তাপে অজ্ঞান হওয়া বৃদ্ধা ভোটার (ছবি : দৈনিক অধিকার)
এ ব্যাপরে হাসাইল-বানারী ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কুদ্দুস মুন্সী ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলী আকবর ঢালী জানান, নির্বাচন অফিস থেকে মাঠে বাঁশের বেড়া ও ওপরে ছাউনি দেওয়ার চিঠি দিয়েছে কিনা আমরা জানি না। তবে চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানাননি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারকে ফোন দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
টংগিবাড়ী উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, মাঠে বাঁশের বেড়া ও ওপরে ছাউনি দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদারকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তা আমার জানা নেই।
এ দিকে স্মার্ট কার্ড নিতে এসে প্রচণ্ড রোদের তাপ ও ভিড়ের মধ্যে পড়ে গত তিনদিনে অজ্ঞান হয়ে পড়া ২৭ জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড