বগুড়া প্রতিনিধি
কোন এলাকা কতটুকু উন্নত তার অন্যতম সূচক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। অথচ দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে সেই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন হাজারো মানুষের দুর্ভোগ, বিড়ম্বনায় পরিণত হয়েছে। দুঃখ জনক এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম কলেরপাড় এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গেছে, বনানী-রাণীরহাট পাকা সড়কের প্রথম এক কিলোমিটার অংশ বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত। এ অবস্থায় শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে রাস্তাটির সংস্কার বা উন্নয়নে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয় না।
অপর দিকে পৌরসভার অনুকূলে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কারে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করতে পারছেন না। এভাবেই বছরের পর বছর কেটে গেলেও রাস্তাটি সংস্কার বা মেরামত হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা রাস্তাটি এখন কাদা-পানিতে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন চরম ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ গুলোকে।
গন্ডগ্রাম নতুনপাড়ার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক সাইফুল ইসলাম টিপু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যখন বিভিন্ন রকমের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তখন গন্ডগ্রাম কলেরপাড় এলাকার মানুষ একটি রাস্তা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। এটা অপ্রত্যাশিত, দুঃখজনক ছাড়া আর কিছু নয়।
বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, বনানী-রাণীরহাট সড়কের প্রথম এক কিলোমিটার অংশ তার কর্ম এলাকার মধ্যে অবস্থিত। ২০১৬ সালের শেষ ভাগে নয় লাখ টাকা ব্যয়ে বগুড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কার করেছিল। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে রাস্তাটি শুধু চলাচলের অযোগ্যই হয়নি বরং স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীদের জন্য চরম বিপজ্জনক ও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক মাস পূর্বে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ইটের টুকরা ও রাবিশ ফেলে সাময়িক ভাবে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করেছিলেন। এ অবস্থায় জনস্বার্থে রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড