শরীশতপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জনপ্রতিনিধি আসে, জনপ্রতিনিধি যায়। তবুও এলাকার উন্নয়ন নাই। তেমনি একটি এলাকা শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টুমচর গ্রাম।
এই গ্রামে রয়েছে টুমচর ১৫ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে যেতে খালের ওপর রয়েছে ব্রিজের দুটি পিলার। ২০ বছর ধরে এভাবেই রয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনে পিলারের উপর বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়েছে এলাকাবাসী।
এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬শ কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ তিন গ্রামের হাজারো জনগণ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। এই ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের কোনো নজর নেই।
গ্রামের মাহবুব কাজী বলেন, এই গ্রামের ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে। রাস্তা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই কাদা হয়ে যায়। তার ওপর ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো। কাদামাখা পায়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।
জালাল মুন্সী বলেন, যেখানে একটি সরকারি স্কুল রয়েছে। সেখানে আমার জানামতে রাস্তা, বিদ্যুৎ, ব্রিজ সবই থাকার কথা। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি না থাকার কারণে এই গ্রামে ঠিকমত বিদ্যুৎও আসেনি।
আসলাম সরদার বলেন, শীবচর, মলংচরা, শীবপুর, টুমচর হাজারো মানুষের যাতায়াত এই পথে। বড় মানুষই সাঁকোটি পার হতে ভয় পায়। এই অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠালে অভিভাবকগণ চিন্তায় থাকেন।
এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মোশারফ বেপারী বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে সাবেক চেয়ারম্যান নিলু মাস্টার থাকতে ব্রিজের দুটি পিলার করেছিল। বর্তমানে আমি এমপি নাহিম রাজ্জাকের বরাদ্দ থেকে ৩টি ব্রিজের চাহিদা দিয়েছি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) চেয়ারম্যান হাজী মহসিন সরদার দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘আমরা এমপি সাহেবের কাছে এই ব্রিজসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের কথা বলেছি। এমপি নাহিম রাজ্জাক দিব দিব করে এখনো দিচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজের কাজ করব।’
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড