• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পঞ্চগড়ের বাগানে রসালো আম, ক্রেতার অপেক্ষায় চাষিরা

  এম মোবারক হোসাইন, পঞ্চগড়

২৫ জুন ২০১৯, ১৩:০৫
আম বাগান
পঞ্চগড়ের বাগানে থোকা থোকা রসালো আম

উত্তরের সীমান্তবর্তী পঞ্চগড় জেলার যে দিকেই যান; চোখে পড়বে সারি সারি আমবাগান। সেখানকার সমতল উঁচু ভূমির এসব বাগানে শোভা পাচ্ছে থোকা থোকা রসালো আম। এ বছরের আবহাওয়া গত বছরের তুলনায় অনেকটায় অনুকূলে থাকায় আমের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন চাষিরা। তবে এ বছর বড় ধরনের ঝড় বা শিলাবৃষ্টি তেমন একটা না হলেও আমের দাম খুবই কম।

চলতি বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় ১ হাজার ৩৪৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। প্রতি বছরই এই জেলায় আম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে আবাদ করা হচ্ছে ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা ও আম্রপালি জাতের আম। তবে দ্বিগুণ উৎপাদন এবং লাভ হওয়ায় আম্রপালী ও হাড়িভাঙ্গা জাতের আমের আবাদের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। খেতে সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ায় এখানকার আমের চাহিদাও বাড়ছে।

আম ব্যবসায়ী মশু মিয়া জানান, এ বছর বাগানগুলোতে ক্রেতারা তেমন ভিড় করছেন না। তাই আম চাষিরা বাড়তি পরিচর্যা করছেন না। তবে আশার কথা হচ্ছে, এ বছর আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনেকটা অনুকূলে থাকায় এবং পরিচর্যা খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্ধেক হওয়ায় লাভের আশা করছেন চাষিরা।

জেলার বাগানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চলতি বছর কীটনাশকের ব্যবহার অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাগানে পাহারা বসানোর জন্য ঘর মেরামতের কাজ চলছে। যেসব গাছগুলোর বেশি আম এসেছে সেগুলোতে ঠেকা দেওয়ার কাজ চলছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আম ব্যবসায়ী রাজেশ হোসেন জানান, এরকম তাপদাহ অব্যাহত থাকলে গুটি জাতের কিছু কিছু আম বর্তমানে বাজারে ওঠা শুরু হয়ে গেছে।

এ দিকে আমের বাজার ও বাগানগুলো মনিটরিং শুরু করেছে প্রশাসন। এবার যেন অপরিপক্ক আম পেড়ে রাসায়নিক দিয়ে না পাকাতে পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আমচাষি শাহাদাৎ হোসেন রঞ্জু জানান, এবারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছি। তবে গত দুই বছর আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় ব্যবসাযীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বছর যেহেতু প্রশাসনের নজরদারি আছে সেহেতু এ সময়সীমা বেঁধে না দেওয়াই ভালো।

তেঁতুলিয়ার সীমান্তবর্তী পুরাতন বাজার এলাকার কৃষক হারেজ আলম তিনি জানান, এবার নিয়ে দুবার আম বিক্রি করব। আশা করছি তাপমাত্রা ও আবহাওয়াজনিত কারণে আম অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পেকে যায়। তাছাড়া প্রশাসন গত দুই বছর সময় বেঁধে দেওয়ায় আম ব্যাপক হারে পেকে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছিলেন।

তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক অধিকার বলেন, সীমান্ত উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় সমতল ভূমিতে আমের চাষ হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে আমের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় রপ্তনি করা হচ্ছে। এখনকার কৃষকরা আমের ভালো দাম পেয়ে খুশি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আবু হানিফ দৈনিক অধিকারকে বলেন, পঞ্চগড় জেলায় চলতি বছরে জেলায় ১ হাজার ৩৪৭ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আমের চাষ হয়েছে। এ বছর পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, দেবীগঞ্জ, আটোয়ারী ও বোদা উপজেলায় আমের চাষ ভালো হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম পেলে আগামীতে আম চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।

ওডি/এসএএফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড