মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের কাঠালতলায় ভুয়া নাম জারি করে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় তিন প্রভাবশালী আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ও রশিদ গং ভুয়া নাম জারি করে জোরপূর্বক জায়গা দখল করছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিক সিরাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া কাঠালতলা এলাকায় রাস্তার পাশের শাখাড়ি বাজার মৌজার সি এস-৪৭, এস এ ৪৬, আর এস ৮০-৯৩ খতিয়ানের সি এস ৯৭-৯৮ দাগের ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। বিরোধপূর্ণ জমির ভুয়া নাম জারি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ওই এলাকার এক পক্ষের আনোয়ার হোসেন ও সাহাবুদ্দিনরা। জমি দখলের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সেখানে ইট বালু রাখা হয়েছে। এতে করে আতঙ্কিত জমির মালিক মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইউনুছ আলী তালুকদার।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮০ বছর যাবত এই জমি ভোগ দখল করে আসছেন মো. সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু লোকজন তাদের জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
পৈত্রিক সূত্রে মালিক মো. ইউনুছ আলী তালুকদার জানান, ৮০ বছর আগে ১৯৪০ সালে আমার দাদা রোস্তম খলিফা উত্তর সিপাহীপাড়ার জব্বর আলীর স্ত্রী গোলফজান বিবি ও তার দুই মেয়ে ইয়ামুন নেছা ও হালিমুন নেছার থেকে ৪১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তারপর থেকে পর্যায় ক্রমে আমরা ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ও রশিদ গংরা আদালতে মামলা চলা অবস্থায় ভুয়া নাম জারি করে আমার ১২ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের পরিবারে সবাইকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে আমি থানার হস্তক্ষেপ চাইলে তারা আমাদের কথা কর্ণপাত করেনি। জায়গাটিতে টিন-বাঁশ দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করছে তারা। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জায়গাটি দখল করে নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রতিপক্ষ গংদের সহযোগিতা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহাবুদ্দিন মুঠোফোনে জানান, আমার সঙ্গে ইউনুসের কোনো বিরোধ নেয়। ইউনুসের ১২ শতাংশ জমির মালিক আগে আমি ছিলাম, এটি আমি বিক্রি করেছিলাম পরে আবারো তার কাছ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি মূলে জায়গাটি ক্রয় করে নেই। রশিদ জায়গাটিতে অবকাঠামো তৈরি করছে।
এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে মো. রশিদ এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রামপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু শেখ বলেন, ৪১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ এবং আদালতে মামলা চলমান আছে। আসলে ওখানে ৪১ শতাংশ জমি আছে কিনা ওটা পরিমাপ করে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনো পক্ষকে জমি বুঝিয়ে দেয়নি। যেহেতু জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে সেখানে আমি জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কে?
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড