• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভারতে অনলাইন পদ্ধতির কারণে আমদানি-রপ্তানিতে ধস

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

২০ জুন ২০১৯, ১২:০২
স্থল বন্দরে
ভোমরা স্থল বন্দর (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোঁজাডাঙ্গা শুল্ক স্টেশনে সে দেশের কাস্টমস্ বিভাগ সম্প্রতি অনলাইন পদ্ধতি (অটোমেশন সিস্টেম) চালু করায় দুই দেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানিতে ধস নেমেছে। অনলাইন পদ্ধতি চালু করায় সার্ভার জটিলতা, প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকা, অদক্ষ টেকনিশিয়ান ও কম জনবল দ্বারা দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করায় প্রচুর সময় ক্ষেপণের কারণে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হঠাৎ প্রায় ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

আগে যেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরের প্রবেশ করত সেখানে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় দিনে ৫০ থেকে ৬০টির বেশি ট্রাক ঢুকছে না এ বন্দরে।

আগে এ বন্দর দিয়ে কাঁচামাল বিশেষ করে ফলসহ বিভিন্ন পচনশীল পণ্য প্রচুর পরিমাণে প্রবেশ করত। কিন্তু এখন সময় ক্ষেপণের কারণে আমদানি কারকসহ ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এ বন্দর থেকে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেকার হয়ে পড়ছেন এ বন্দরের হাজার হাজার শ্রমিক। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্বও ঘাটতি হচ্ছে। আগে ভোমরা বন্দর দিয়ে বছরে হাজার কোটিরও বেশি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও সেটি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মূলত ১৯৯৬ সালে ভোমরা স্থল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরটি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সরকার প্রতিবছর প্রায় হাজার কোটি টাকা এই বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে। চলতি অর্থবছরে এই বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু গত মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারত সরকার ঘোঁজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের কাস্টমস্ বিভাগ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘অটোমেশন সিস্টেম’ (অনলাইন কার্যক্রম) চালু করায় মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে হঠাৎ আমদানি-রপ্তানিতে রীতিমতো ধস নেমেছে।

সাতক্ষীরার ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন জানান, গত মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারত সরকার ঘোঁজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের কাস্টমস্ বিভাগ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘অটোমেশন সিস্টেম’ (অনলাইন কার্যক্রম) চালু করে। আর এই ‘অটোমেশন সিস্টেম’ চালুর পর থেকেই সার্ভার জটিলতার মুখে পড়ে বন্দরটি। ঘোঁজাডাঙ্গা বন্দরে দক্ষ জনবলের অভাবের কারণে এ সমস্যা নিরসণ হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

যে কারণে প্রতিদিন গড়ে ১শটি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড় করাও সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে ভোমরা বন্দরে দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে হঠাৎ ধস নেমেছে। আর এ কারণে ভোমরা স্থলবন্দরে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব আদার আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে, অপরদিকে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শ্রমিকদের আগের মতো আর কাজ নেই, তারা বেকার হয়ে পড়ছে। এ সমস্য দ্রুত সমাধান না হলে ভোমরা বন্দর থেকে আমদানিকারকরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।

ভোমরা স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ মে থেকে ভারতের ঘেঁজাডাঙ্গা স্থল বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনলাইন কার্যক্রম চালু করেছে। গত রোজার ঈদের আগে থেকেই জটিলতা শুরু হয়েছে। ঈদের পরও একই অবস্থা বিরাজ করছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ৩’শ থেকে সাড়ে ৩শটি পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করতো এখন সেখানে গড়ে ১শটি ভারতীয় ট্রাকও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে না।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড