মায়ের লাশের পাশে মেয়েকে ধর্ষণ

নওগাঁর মান্দায় মাকে গলা কেটে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম নাসিমা আক্তার সাথী (৪০)। তিনি উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের এমদাদুল হক মণ্ডলের স্ত্রী। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সামিউল ইসলাম সাগরকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। আটক সাগর উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের চকশ্যামরা গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে।

নিহতের স্বামী এমদাদুল হক জানান, আমি নাটোরর একটি ফার্মে নৈশ প্রহরীর চাকরি করি। বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে থাকতেন। সোমবার রাতে মোবাইলের মাধ্যমে স্ত্রী সাথীর মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারি।

মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, নিহতের মেয়ে রীমা আক্তারের সঙ্গে আটক সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। ঘটনার রাতে রীমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি চাকু নিয়ে তাদের বাড়িতে যায় সাগর। বাড়ির ছাদে উঠে অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় সাগর যৌন উত্তেজক পানীয় পান করে। পরে ছাদ থেকে নেমে রীমার ঘরে যায়। ওই সময় সাথী ও মেয়ে রীমা একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।

ওসি আরও জানান, সাগর ও রীমা কথা বলার সময় সাথী জেগে ওঠে। তখন সাগরের কাছে থাকা চাকু দিয়ে সাথীর শরীরের একাধিক আঘাত করে সে। এতে সাথী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে জবাই করে হত্যা করে সাগর। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।

সাগর জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায়, অপরাধকর্ম সংঘটিত করে বুড়িদহ খেয়াঘাটের সাঁকো দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি নদীতে ফেলে সে বাড়ি চলে যায়।

ওসি আরও বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নওগাঁ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

ওডি/এমবি